সারাদেশে শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি)। উক্ত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওসমানীনগর উপজেলায় নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে হল সুপার স্বপন কেন্দ্রের ভিতরে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে ধূমপান করার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহন না করে বিষয়টি নিয়ে দায়সারা ভাব দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে, সমাপানী পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে ধুমপান করে সমালোচনায় আসেন উপজেলার ফকিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাস। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা যায় কেন্দ্রের ভিতরে প্রকাশ্যে ধূমপানরত অবস্থায় কেন্দ্রের অন্যান্য দায়িত্বরতদের সাথে কথা বলছেন তিনি।
উক্ত ঘটনায় শিক্ষক সমাজ ও অভিভাবকদের ভেতর ক্ষোভ এবং বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
মাওলানা আব্দাল হুসাইন হাজীপুরী নামের এক ব্যক্তি মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, এসব অনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যকে নষ্ট করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক শিক্ষকরা জানান, এবারের সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি কাল থেকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ কতিপয় ব্যক্তিদের যোগসাজগে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছেন। উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে পরীক্ষার ডিউটি দ্বায়িত্ব দেয়ার বিধান থাকলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মুমিন মিয়ার হস্তক্ষেপে একই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষককে পরীক্ষায় ডিউটি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষা কর্মকর্তার এমন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার ফলে আজ প্রকাশ্যে ধুমপানসহ একাধিক কেন্দ্রের ভিতরে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নতুন নতুন অনিয়মের প্রভাব বিস্তারের ঘটনাও ঘটছে। চাকুরীর ভয়ে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারছি না আমরা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দ্বায়িত্ব) আব্দুল মুুমিন মিয়া বলেন, সমাপনী পরীক্ষার সকল কার্যক্রম নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই হচ্ছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বায়োজিদ খান বলেন, এ বিষয়গুলো আমি শুনেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।